বরগুনা

ডেঙ্গু: প্রাইভেট ক্লিনিকে একই রোগীর ভিন্ন রিপোর্ট



মোঃ খাইরুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরগুনা
বরগুনার দুটি প্রাইভেট ক্লিনিকে শিশু মারিয়ার ডেঙ্গু ভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল/ ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার দুটি প্রাইভেট ক্লিনিকে শিশু মারিয়ার ডেঙ্গু ভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনা শহরের ফায়ার সার্ভিস সড়কের মহিউদ্দিন জ্বরে আক্রান্ত আড়াই বছরের মেয়ে মারিয়াকে নিয়ে গত সোমবার বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাফ হোসেনের ব্যক্তিগত চেম্বারে যান। সেখানে চিকিৎস্যক ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে বলেন। পৌর শহরের রংধনু ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ভাইরাস ধরা পড়েনি। তবে মনের সন্দেহ দূর করতে একই এলাকার শরীফ এক্সরে ও প্যাথলজিতে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে মারিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যায় তার পরিবার।

শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক গত ৫ আগস্ট জ্বর নিয়ে রংধনু ডায়াগনস্টিকে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে রক্তের প্লাটিলেট দেখায় দুই লাখ ৫৬ হাজার। পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ভাইরাস ধরা পড়েনি তার। সন্দেহের বশে শরীফ এক্সরে ও প্যাথলজিতে পরিক্ষা করালে ডেঙ্গু ভাইরাস ধরা পড়েনি।

পরে হলি কেয়ার ডায়াগনস্টিক ও উপকূল ডায়গনস্টিকের পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে আব্দুর রাজ্জাকের। এরপরে বরিশাল শেরে-ই-বাংলায় ভর্তি হয়ে ৯ আগস্ট মেডি এইড ডিজিটাল ডায়গনিস্টিকে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু নেগেটিভ আসলেও ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে তার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/25/1566694640978.jpg
বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডেঙ্গু ভাইরাস টেস্টে পজিটিভ রোগীরা/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

সদর হাসপাতালে সরেজমিনে রোগীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নার্সরা বলছেন, চিকিৎসকরা পাঠাচ্ছেন। আর চিকিৎসরাক দুষছেন নার্সদের।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মেডিকেল পরীক্ষা হাসপাতালে বিনা খরচে করার নিয়ম থাকলেও বরগুনায় কৌশলে রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠানো হচ্ছে। ডাক্তারের নির্দেশানুযায়ী নার্সরা তাদের পছন্দের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

এছাড়া ডেঙ্গু পরীক্ষায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো একই রোগীর আলাদা আলাদা রিপোর্ট দিচ্ছে। এতে নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। তাদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে কিট থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক ও নার্সরা রোগীদের পাঠাচ্ছেন ঐসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, বরগুনা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট থাকলেও কমিশনের জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/25/1566694758980.jpg

বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাফ হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত করার কিট শেষ হয়ে গেছে। তাই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল।’

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ূন হাসান শাহীন বলেন, ‘ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নিম্নমানের কিট ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই রিপোর্ট আলাদা আলাদা আসছে।’

এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ্ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;